শার্শা প্রতিনিধি।। শার্শা উপজেলার ৮নং বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন সাত মাইল পশু হাট শেড নির্মান কাজে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ মিলেছে। নিম্নমানের ইট বালু ও কম রড সিমেন্ট ব্যবহার করেই চলছে শেড নির্মান কাজ বলে অভিযোগ জানিয়েছেন খোদ বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক।
এলাকা বাসির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ নভেম্বর শার্শা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে প্রকল্পের নির্মান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে মুঠো ফোনে জানালে তিনি কাজ বন্ধ করে পুনরায় নিয়ম মাফিক নির্মান কাজ শুরু হবে আশ^স্ত করলেও রাতের আঁধারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আরো জানান। স্থানীয় প্রভাব শালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মদদে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজে প্রকল্প বরাদ্দের টাকা লোপাট করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এম এম মামুন হাসানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,ইতিমধ্যে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ পরিদর্শনে যেয়ে চেয়ারম্যানের উপর হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ জানান, ঢালাই কাজে অনিয়মের খবর পেয়ে কাজ পরিদর্শনের সময় চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানের উপর চড়াও হয় ও চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজনের মারপিট করে।
শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,স্থানীয় রাজস্ব আয়ের তহবিল হতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্স প্রোঃ লোকমান হোসেন চৌগাছা ৪৩ লাখ ৮হাজার ২শত ৫০টাকা চুক্তিতে বাঁগআচড়া পশু হাটের ৪টি শেড নির্মান কাজ পান। প্রতিষ্ঠানটি ৩৩ লাখ ৯১হাজার টাকায় বাঁগআচড়া বাজার এলাকায় ১টি মাল্টিপারপাস ফিড শেড ও হাট চান্দি এলাকায় ২টি সেড নির্মানেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
তিনি কাজটি সাব কন্টাকে ঝিনাইদাহের লিটু নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর সত্তাধীকারী লোকমানের সহিত যোগাযোগের চেষ্ঠা করে ও সাক্ষাৎ না মেলায় বিবৃতি জানা যাইনি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে সরেজমিনে গেলে নিম্নমানের কাজের কারনে ঢালাই ও ইট তুলে ফেলা অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান,এ ভাবে শেড নির্মান করলে অচিরেই তা ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকা বাসীর আপত্তির মুখেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির আপত্তি জানিয়েও সূরাহ মিলছে না বলে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। সাধারন জনগনের ট্যাক্সের টাকায় নির্মান কাজের বরাদ্দের টাকা লুটপাটের ঘটনায় অশোন্তষ ইউনিয়নবাসী। অবিলম্বে তারা উন্নয়নমূলক কাজের শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতে যশোর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/শিরিন আলম